রাজধানীতে সক্রিয় রয়েছে পেশাদার গ্রিলকাটা চক্রের সদস্যরা। তবে রাজধানীবাসী রয়েছেন আতঙ্কে। তবে ওই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করতে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর রাত ১১টা থেকে ১৫ অক্টোবর সকাল ৬টার মধ্যে যেকোনো সময় মিরপুর মডেল থানার বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসার জানালার গ্রিলকেটে ঘরে প্রবেশ করে ওই চক্রের সদস্যরা। পরে ঘর থেকে মূল্যবান মালামালসহ নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। পরে ফরিদ উদ্দিন বাদি হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) মিরপুর মডেল থানাধীন মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে হযরত আলী ওরফে রকি, শাহিন ও সগির ওরফে রাজু নামের তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে হযরত আলী ওরফে রকি গ্রিলকাটা চোর চক্রের প্রধান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ল্যাপটপ, কম্পিউটার হার্ডডিক্স, মোবাইল ফোনসহ বেশ কিছু চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। তারা মঙ্গলবার রাতে মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে চোরাই মালামাল কেনাবেচা করছিল। সেই সময় পিবিআই ঢাকা মেট্রোর একটি বিশেষ টিম তাদের গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বাংলাদেশ টাইমসকে জানান, চক্রটি রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি টার্গেট করে। পরে রাতের অন্ধকারে বাড়ির স্যানিটারি পাইপ, জানালার কার্নিসে ভর করে উপরে উঠে বিভিন্ন তলার গ্রিলকেটে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়।
এদিকে, গ্রিলকাটা চক্রের সদস্যরা সক্রিয় থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারে মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজধানীর কাওরান বাজার, ফার্মগেট, তেজতুরি বাজার, ধানমণ্ডি, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দার সাথে কথা বলে এমন আতঙ্কের কথা জানা গেছে।
পশ্চিম তেজতুরি বাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাড়ির ম্যানেজার তুহিন মিয়া বাংলাদেশ টাইমসে বলেন, তাদের এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। তারপরও গ্রিলকাটা বাহিনী ও চোর চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাসায় প্রবেশ করে বড় ধরনের চুরি করে থাকে। এ জন্য এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শুধু তুহিন মিয়া নয়, মিরপুরের বাসিন্দা আবুল হোসেন বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, তাদের এলাকায়ও চোর চক্রের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে। বিভিন্ন সময় তাদের এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটে।
তবে এ ব্যাপারে পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, চক্রটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশের কাছে আছে। সেই তথ্যমতে চোরাই মালামাল কেনাবেচার সাথে জড়িত অভিজাত এলাকার একাধিক দোকান মালিকদের সর্ম্পকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।