‘নুসরাতের অভিযোগের ব্যবস্থা নিলে এমন পরিণতি হত না’

ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ  সিরাজ উদ দৌলার শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যু হত না বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শুক্রবার মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর এ মন্তব্য করেন।

নুসরাত হত্যার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন গ্রেপ্তার

তিনি বলেন, গত ২৭ মার্চ নুসরাতকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নিলে হয়তো নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা এড়ানো যেত।

শুক্রবার দুপুরে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, নুসরাতকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।

নুসরাত হত্যায় আসামি জাবেদ চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার

৬ এপ্রিল নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

আল মাহমুদ বলেন, বেশ কয়েকজন ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক, পুলিশসহ অনেকের সাক্ষ্য নিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন যে ২৭ মার্চের ঘটনার সঙ্গে ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়ার যোগসূত্র রয়েছে।

আল মাহমুদ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সোনাগাজী পৌঁছে মাদ্রাসায় যান। সেখানে কয়েকজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এরপর যে স্থানে নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়া হয়, ওই স্থান এবং নুসরাতদের বাড়ি পরিদর্শন করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

 

 

টাইমস/এসআই

 

Share this news on: