ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন ৫ মে

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের স্থগিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ মে।রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক মিয়া জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা আমরা পেয়েছি, মঙ্গলবার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হবে।

জানা গেছে, ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মতিন সরকারের ছেলে শহীদুল ইসলাম দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড ময়মনসিংহ শাখা হতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট দুই কোটি টাকা ঋণ নেন। যার জামিন হন তার বাবা আবদুল মতিন। ২০১৮ সালের ৭ আগস্টের মধ্যে ঋণ পরিশোধের শর্ত থাকলেও করা হয়নি ও যা সুদ-আসলে ২ কোটি ২৯ লাখ ৮১ হাজার ২৯৭ টাকা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে পরিশোধিত না হওয়ায় ঋণ খেলাপির অভিযোগে ২০ মার্চ উচ্চ আদালতে রিট করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন। রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর ২৭ মার্চ ছেলের ঋণ খেলাপির দায়ে বাবা আবদুল মতিন সরকারের প্রার্থিতা বাতিল ও চেয়ারম্যান পদে ছয় মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ।

আদালতের রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে ২৮ মার্চ চেম্বার জজ আদালতে বিচারপতি ইমান আলীর বেঞ্চে আবেদন করেন মতিন সরকার। ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হয়। এতে মতিন সরকারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবি ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ, অ্যাডভোকেট কাউসার। অন্যদিকে ইকবাল হোসেনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমির উদ্দিন মানিক শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। শুনানিতে মতিন সরকারের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো বাধা নেই মর্মে রায় প্রদান করে রিট আবেদনটি খারিজ করে দেয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপিলের প্রেক্ষিতে ৩১ মার্চ ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে কমিশন। হাইকোর্টের ওই আদেশের প্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যানসহ সব পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ময়মনসিংহ জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে চিঠি প্রেরণ করে নির্বাচন কমিশন। এরই প্রেক্ষিতে ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত ছিল।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: