রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে চট্টগ্রামের ৯ উপজেলাকে ‘বিশেষ এলাকা’ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাধারণ তথ্যের পাশাপাশি এসব উপজেলায় ভোটার হতে হলে বিশেষ তথ্য ফরম পূরণ করতে হবে।
উপজেলাগুলো হচ্ছে- রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, পটিয়া, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালী।
মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, কর্ণফুলী, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও আনোয়ারা উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হবে। এর মধ্যে কর্ণফুলী, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও আনোয়ারা বিশেষ এলাকার আওতায়।
ইতিমধ্যে এসব ‘বিশেষ এলাকার’ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) আহ্বায়ক ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইসির সহকারী সচিব মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত একটি পত্রের মাধ্যমে বিশেষ কমিটির ১০টি কাজ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশেষ এলাকায় ভোটার হতে ইচ্ছুকদের সাধারণ তথ্যের পাশাপাশি একটি বিশেষ তথ্য ফরম পূরণ করতে হবে। ওই সব তথ্য যাচাই করবে বিশেষ কমিটি।
বিশেষ তথ্যগুলো হচ্ছে-
ভাইবোনের ডাটাবেজে পিতামাতার নামের সঙ্গে আবেদনকারীর ফরম-১ এ উল্লিখিত পিতামাতার নামের মিল থাকতে হবে।
চাচা-ফুফুর ডাটাবেজে তাদের পিতার নাম ও ঠিকানার সঙ্গে আবেদনকারীর বিশেষ তথ্য ফরমে প্রদত্ত পিতামহের নাম ও ঠিকানার মিল থাকতে হবে।
প্রয়োজনে নিকটাত্মীয়ের মোবাইল নম্বরে কথা বলে তাদের পরিচিতি কিংবা তথ্য সম্পর্কিত বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
এ ছাড়া ভোটার হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে বাংলাদেশের বাসিন্দা হতে হবে। নিবাসের প্রমাণস্বরূপ তাকে এ সংক্রান্ত প্রণীত অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ ফরম অনুযায়ী যা চাওয়া হবে সব তথ্য দিতে হবে।
যদি বিশেষ এলাকায় কোনো ব্যক্তি নিজস্ব সম্পত্তির সূত্রে তালিকাভুক্তির দাবি করেন, তখন সম্পত্তির মালিকানা ও এ সংক্রান্ত সব দলিলাদি তথ্য সংগ্রহকারীকে দিতে হবে।
যারা বাংলাদেশি কোনো নাগরিকের সঙ্গে ভোটার তালিকাভুক্তির দাবি করবেন, তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা নাগরিক সনদপত্রসহ দলিলাদির তথ্য সংগ্রহকারীকে দিতে হবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, বিশেষ এলাকায় তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফরম-২ (ভোটারের তথ্য যে ফরমে লিপিবদ্ধ হয়) এর সঙ্গে ফরম-১ মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে দালিলিক কাগজপত্রসহ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর জমা দেবেন। এরপর বিশেষ কমিটি কাগজপত্র দেখে যাদের আবেদন বাতিল করবে, তারা চাইলে সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারবেন।
রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে সহযোগিতা অথবা মিথ্যা তথ্য দিলে অথবা কারও গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা আইন ২০০৯-এর ১৮ ধারা অনুযায়ী ফৌজদারি মামলা দেবে ইসি।
টাইমস/এইচইউ