শ্রীলঙ্কার হামলায় দেশের জঙ্গিরা অনুপ্রাণিত হতে পারে: মনিরুল ইসলাম

শ্রীলঙ্কার হামলা দেখে বাংলাদেশে ঝিমিয়ে পড়া জঙ্গিরা অনুপ্রাণিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স নাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মনিরুল।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কেউ তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে কোনো সহিংস কর্মকাণ্ড যেন না ঘটাতে পারে, সেজন্য আমরা তৎপর রয়েছি। আমরা, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা সবাই সতর্ক রয়েছি।’

বাংলাদেশে জঙ্গিদের এখন বড় ধরনের হামলা চালানোর সক্ষমতা নেই বলে দাবি করেন জঙ্গিবিরোধী নানা অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশে জঙ্গিরা চোরাগোপ্তা বেশ কিছু হামলা চালানোর পর বড় হামলা চালিয়েছিল ২০১৬ সালে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে। ওই হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জনকে হত্যা করে তারা।

গুলশান হামলার পর আইনশঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে জঙ্গিদের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাই ধরা পড়েন কিংবা মারা যান।

আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় যারা গিয়েছিলেন তাদের বাংলাদেশে ফেরা সম্পর্কে মনিরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে কতিপয় লোক অধিকাংশ আইএসে গেছে ২০১৪ সালের শেষ দিকে। এদের পাসপোর্টের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। সুতরাং তারা ফিরতে হলে দূতাবাসে গিয়ে ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করতে হবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যাচাই-বাছাই করেই ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করতে হবে। সিরিয়া থেকে সরাসরি বাংলাদেশে আসা যায় না। অন্য দেশে গিয়ে আসতে হবে।’

বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই মারা পড়েছেন কিংবা গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে মনে করেন মনিরুল।

‘বাংলাদেশ থেকে যারা গেছে যেমন ডাক্তার রোকন, সে সম্ভবত বেঁচে আছে। যারা গেছে, তারা ক্যাপচার, ডিটেইনড অথবা ডেথ। ওইসব এলাকায় বাংলাদেশের কারও আত্মগোপন করে থাকা সম্ভব নয়, কারণ সিরিয়া বা আশপাশে আইএসের নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই।’

এরপরও কেউ বাংলাদেশে ফেরত আসতে চাইলে বিমানবন্দরেই ধরা পড়বেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মনিরুল বলেন, শ্রীলঙ্কার পাশের দেশ মালদ্বীপ থেকে বড় একটি সংখ্যায় আইএসে যোগ দিয়েছিল। মালদ্বীপ থেকে বেশ কিছু সংখ্যক, জনসংখ্যা অনুপাতে ভালো সংখ্যা আইএসে যোগ দিয়েছে। আবার শ্রীলঙ্কা থেকেও কেউ কেউ গেছে, এরকম আমরা শুনেছি। অসমর্থিত সূত্র বলছে ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াতেরও ভালো সংখ্যা আইএসে রয়েছে।’

শ্রীলঙ্কার হামলা প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত হামলা চালালেও এর পেছনে আন্তর্জাতিক কোনো সংগঠন যুক্ত বলে তার মনে হচ্ছে। হামলার ধরন, টার্গেট করার ধরন, ছবি আমরা দেখেছি এবং আমাদের কাছে কিছু তথ্যও ছিল।’

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: