জঙ্গিবাদ কখনো মানুষের কল্যাণ বয়ে আনে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ কখনো মানুষের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না। এ ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ থেকে সবাইকে দূরে থাকতে হবে। এ ধরনের ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে কোনো মানুষ যেন জড়িত না হয়। আমরা চাই না এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা আরও ঘটুক।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের কোনো দেশ ও ধর্ম নেই। জঙ্গি জঙ্গিই, সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই। এদের কোনো ধর্ম নেই। নেই কোনো দেশ-কাল-পাত্র।

বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতে শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলা ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান চৌধুরী নিহতের ঘটনা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় সিরিজ বোমা হামলা হয়। পরে আরও দুটি জায়গায় বোমা হামলা হয়। সেখানে এ পর্যন্ত ৪০ জন শিশুসহ ৩২৭ জনের মতো মানুষ মারা গেছে। আরও মৃত্যুর খবর আসছে। অনেকে আহত অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এই ঘটনায় শেখ ফজলুল করিমের সেলিমের মেয়ে সোনিয়ার বড় ছেলে জায়ান চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেছে।

এসময় তিনি জায়ানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জায়ান ছোট বাচ্চা। মাত্র আট বছর বয়স। আজকে সে আমাদের মাঝে নেই। তার বাবাও মৃত্যুশয্যায়। তাকে এখনো জানতে দেওয়া হয়নি যে জায়ান নেই। সে বারবার খুঁজছে। তার মা বা পরিবারের অবস্থা আপনারা বুঝতেই পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ডে মসজিদে সরাসরি গুলি করে নারী-পুরুষ-শিশুসহ অনেক মানুষ হত্যা করা হলো। আমাদের ক্রিকেট দল সেখানে ছিল। খুব অল্পের জন্য তারা বেঁচে গেছে। নুসরাত, যে একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল, তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারল তার সাথিরা। এই ধরনের যেকোনো অমানবিক ঘটনা সমাজের জন্য অকল্যাণকর।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্মের নামে যারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস করে, তারা মানবজাতির কাছে আমাদের ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ—সব ধর্মেই শান্তির কথা বলা আছে।

‘তার পরও কিছু লোক ধর্মীয় উন্মাদনায় মানুষের প্রতি আঘাত হানে। মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। আমাদের দেশেও এ ধরনের বোমা হামলা, জঙ্গি হামলা ঘটেছে। আমরা তা কঠোর হস্তে দমন করেছি। তাই দেশবাসীকে বলব, সতর্ক থেকে কোথাও কোনো অস্বাভাবিকতা পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা যেন আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে জানায়।’

সাংসদ শহিদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভেজালের বিরুদ্ধে সারা বছরই অভিযান চালানো হয়। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। রমজান মাসে অবশ্যই মোবাইল কোর্ট বসানো হবে। তারা ভেজালের বিষয়টা দেখবে।

তিনি আরও বলেন, যারা ভেজাল দেন তাদের বলব, ভেজাল দেওয়ার দরকারটা কী? এইভাবে মানুষের ক্ষতি করা তো ঠিক না।

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on: