ঘটনা ফরিদপুরের নগরকান্দার। মাদ্রাসায় যাওয়া–আসার পথে প্রায় প্রতিদিন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতেন ইব্রাহিম মাতুব্বর নামে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ।
গত সোমবার ইব্রাহিমের বাবা ও মাকে এ ব্যাপারে প্রতিকায় চেয়ে আবেদন জানান ওই কিশোরীর মা। এর দুই দিন পর বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই কিশোরী রাতের খাবার শেষ করে হাত ধোয়ার জন্য কলপাড়ে গেলে ইব্রাহিম ও তার দুই সহযোগী কিশোরীরে মুখ চেপে ধরে আনুমানিক ৩০ গজ দূরে পুকুরপাড়ে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর কিশোরীর মুখ গামছা দিয়ে বাধার চেষ্টার সময় কিশোরী চিৎকার দিলে তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় ইব্রাহিম ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যান। উপজেলার কোদালীয়া শহীদনগর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ইব্রাহিমসহ তিনজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরকান্দা থানায় একটি মামলা করেছেন। এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইব্রাহিম মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই কিশোরীর ভাই বলেন, এ ঘটনার পর রাতেই ওই কিশোরীকে নগরকান্দা থানায় নিয়ে সব ঘটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমানকে জানানো হয়। ওই সময় পুলিশ ইব্রাহিমকে আটক করে আনে।
অভিযুক্ত ইব্রাহিমের বাবা এ বিষয়ে বলেন, তার ছেলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। তিনি বলেন, তার ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। কিশোরীর মা তাদের কাছে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। তিনি উত্তরে বলেছিলেন, ‘আমার ছেলে আর ডিস্টার্ব করবে না। করলে হাত পা ভেঙে দেব।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিরাজ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ইব্রাহিমসহ তিনজনকে আসামি করে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
টাইমস/এসআই