প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, ছাত্রীকে প্রকাশ্যে কোপাল তরুণ

প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় প্রকাশ্যে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে এক তরুণ। শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় লোকজন জুয়েল(২০) নামের ওই তরুণকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।

জানা গেছে, মেয়েটি কুলাউড়া পৌর শহরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। জুয়েল আহমদ নামের এক তরুণ বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস হয়েছে। শনিবার বিদ্যালয় ছুটির পর বাড়ি ফেরার জন্য মেয়েটি যাত্রীবাহী অটোরিকশায় উঠে। বেলা আড়াইটার দিকে অটোরিকশা থেকে নেমে সে একা হেঁটে বাড়িতে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে জুয়েল পথরোধ করে মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। মেয়েটি তা প্রত্যাখ্যান করায় জুয়েল তাকে মাটিতে ফেলে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে ধাওয়া করে জুয়েলকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে দেয়। স্বজনেরা আহত ছাত্রীকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

 

কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়েটির মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, তার মেয়ে আগে আরেকটি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। জুয়েলের উত্ত্যক্তের কারণে ওই বিদ্যালয় বদলে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। কিন্তু জুয়েলের হাত থেকে রক্ষা পায়নি মেয়ে। সম্প্রতি এটা নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনের উপস্থিতিতে সালিসও হয়। সালিসে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কাজ করবেন না বলে জুয়েল লিখিত মুচলেকা দেন। মেয়ের সঙ্গে জুয়েলের এমন আচরণের বিচার চান মা।

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মেয়েটির ডান কান অর্ধেক কেটে ঝুলে গেছে। এ ছাড়া তার মাথার পেছনে অন্তত দুই ইঞ্চি গভীরতার জখম হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুলাউড়ার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হক।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান জানান, এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে জুয়েল বখাটে প্রকৃতি। ঘটনায় ব্যবহৃত রক্তমাখা অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: