দুটি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় অর্ধশত সাংবাদিককে আটকে রেখে হেনস্তা করার ঘটনায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার মানহানির মামলার আবেদন হয়েছে আদালতে।
মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই আবেদন করেন একটি নিউজ পোর্টালের সম্পাদক নুজহাতুল হাসান।
আদালতের পেশকার আজমল হোসেন জানান, ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। সংশ্লিষ্ট মামলাটি গ্রহণ করা হবে কি না সে বিষয়ে আদেশ পরে দেবেন বিচারক।
গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের একটি মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন শমী কায়সার। বক্তব্য শেষে কেক কাটার পর তার দুটি স্মার্টফোন আর যথাস্থানে পাননি বলে জানান তিনি।
এরপর মিলনায়তনের মূল দরজা বন্ধ করে প্রায় অর্ধশত সাংবাদিককে আটকে রাখা হয়। প্রায় ১০ মিনিট ধরে মিলনায়তনে একাধিক সাংবাদিকের ব্যাগ তল্লাশি করেন শমী কায়সারের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে চাইলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে বিভিন্ন টেলিভিশনের ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন হিসেবে এক তরুণকে চিহ্নিত করা হলেও এখনও তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
এ ঘটনায় সাংবাদিকদের হেনস্তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন শমী কায়সার।
তবে সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলার মধ্য দিয়ে মানহানি করা হয়েছে অভিযোগ করে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে এই মামলার আবেদন করেন নুজহাত।
টাইমস/এসআই