গাছ থেকে লিচু পেড়ে খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের হামলার শিকার হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের উত্তর দিকে অবস্থিত কর্মকর্তা কোয়ার্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গুরুতর আহতদের মধ্যে রাবি ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান কাননের দুই হাত ভেঙে গেছে এবং উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান আশিকের পায়ে ও মাথায় জখম হয়েছে। বাকিদের রাবি চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মারধরকারীদের নাম-পরিচয় কেউ স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি। তবে হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে গাছগুলো লিজ নিয়ে পাহারা দিচ্ছিল বলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেছে।
পুলিশ ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা কানন ও মেহেদীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ছয়-সাত জন ছাত্রলীগ কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের পাশে কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার এলাকায় লিচু বাগানে যায়। বাগানে থাকা প্রহরীরা লিচু খেতে নিষেধ করলে তারা নিজেদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পরিচয় দেয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে প্রহরীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয় এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করে বাগান থেকে পালিয়ে যায়। এতে ছাত্রলীগ নেতা কানন ও মেহেদীসহ ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লিচু বাগানে প্রহরীদের টঙে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে হল থেকে রড, রামদা, স্ট্যাম্প নিয়ে ক্যাম্পাসে শোডাউন করে। এতে ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, আমাদের দু’জন নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তাদের চিকিৎসা চলছে।
টাইমস/এইচইউ