রাজশাহীকে ‘খরাপ্রবণ’ এলাকা ঘোষণার দাবি

রাজশাহী অঞ্চলকে খরাপ্রবণ এলাকা হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ নামে একটি সংগঠন।

বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি। এসময় পদ্মায় পানি সংকট নিরসনে উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প ও গঙ্গা ব্যারেজ বাস্তবায়নেরও দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের নেতারা জানান, রাজশাহীবাসীর প্রাণের দাবি ভয়াল পদ্মার গ্রাস থেকে বাঁচার জন্য নদীতীরে প্রতিরক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বিভাগীয় শহরকে রক্ষার জন্য দলমত নির্বিশেষে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি করে আসছে। এই প্রেক্ষিতে সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে অর্থ বরাদ্দ প্রদান করে নদী ভাঙনের হাত হতে এই শহরকে রক্ষা করেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের ১৯টি নদী ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হলেও রাজশাহীর পদ্মা নদীটি অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে রাজশাহীবাসীর প্রাণের দাবি পদ্মা নদী ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের অন্তর্ভুক্ত করে নৌ চলাচলসহ এ অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষার জন্য জরুরি।

তারা বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের পানি প্রবাহ গভীর নলকূপ দ্বারা অবাধ ব্যবহারের ফলে পানিতে আর্সেনিক দূষণ দেখা দিয়েছে। এলাকার মানুষ বহুবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং ফসলেরও মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এখানে বর্ষা মৌসুমেও পানির স্তর বহু নিচে থাকে। ফলে এলাকায় গভীর নলকূপে পানির ব্যবহারের ফলে মরু প্রক্রিয়ার পথে যাচ্ছে। আর গ্রীষ্মে চরম খরার ধাবিত হচ্ছে। অতি দ্রুত এই এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে এবং ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার না করার ফলে এই এলাকা দ্রুত বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

বর্তমানে সময়ে রাজশাহীর ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ প্রবাহিত হচ্ছে উল্লেখ করে বলা হয়, এটি খরাপ্রবণ এলাকার স্পষ্ট লক্ষণ। এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে রাজশাহী অঞ্চলেই। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে এই অঞ্চলকে খরা প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) মো. আলমগীর কাবীর, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নান, হারুনর রশিদ, এডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু, মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, নারী নেত্রী সেলিনা বেগম, ছাত্রনেতা কেএম জোবায়েদ হোসেন জেতু প্রমুখ।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: