নারী ডাক্তারকে ধর্ষণের হুমকি দেয়া সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তারের দুই ঘণ্টা পর মুক্ত  

সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় মুক্তি পেয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন।

মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বেলা ৩টার দিকে থানায় গিয়ে সারোয়ারের জামিনের কাগজ দেখিয়ে তাকে মুক্ত করে নিয়ে যান তার আইনজীবী।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্রলীগের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী তাদের এক সহযোগীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।

কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক রোগীর সঙ্গে একজন থেকে বাকিদের বাইরে যেতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সারোয়ার।

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার ছুরি দেখিয়ে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন বলে ওই চিকিৎসকের অভিযোগ।

পরে ওই চিকিৎসক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে ফেসবুকে পোস্ট দিলে তুমুল আলোচনা শুরু হয়।

চিৎকার করে সারোয়ারের গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকি এবং তার মারমুখী আচরণের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই ঘটনার পর থেকেই সারোয়ারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতির মত কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

গত ১১ মে বিকেলে উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ফেরদৌস হাসান কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পরে সোমবার রাতে তিনি সারোয়ারের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on: