মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা কাজের সুবিধার জন্য। কাজের সুবিধার জন্য পুনর্বিন্যাস, পুনর্গঠন অনেক সময় প্রয়োজন হয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু টিম লিডার। এই জাহাজের ক্যাপ্টেন, কাজেই রাষ্ট্রীয় জাহাজটি যাতে ভালোভাবে চলে, গতি সম্পন্ন হয়, সমন্বয় নিয়ে যেন চলতে পারে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সময়ের চাহিদা মেটানো, বাস্তবতাকে আলিঙ্গন করবেন এবং সেজন্য এই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সোমবার সেতু ভবনে দু’টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়।
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ইসলামকে স্থানীয় সরকার বিভাগে রেখে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্যকে শুধু পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্ব ভাগ করে দেয়ার পর এখন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শুধু ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দেখভালে থাকবেন। আর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সামলাবেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
এ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রী পরিষদ গঠন, পুনর্বিন্যাস- পরিমার্জন-পরিবর্ধনের এখতিয়ারটি সম্পূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর। এ ধরনের পদক্ষেপ সব দেশেই নেয়া হয়।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা সম্পর্কে কাদের বলেন, ‘সে ধরনের কোনো বিষয় নয়, এটা হচ্ছে কাজের সুসমন্বয়, কাজের গতি, কাজের মান। এই বিষয়টিকে নিশ্চিত করার জন্য কাজটা ভাগ করে দিলে গতিটা বাড়ে, সমন্বয় বাড়ে এবং কাজের কোয়ালিটি বাড়ে, কাজ আরও বেশি করে করা যায়। সে দিকটাকে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন।’
গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে শপথ নেন শেখ হাসিনা। ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রীকে নিয়ে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা সাজান তিনি।
টাইমস/এসআই