ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম পায়নি কর্তৃপক্ষ

ডাকসু নির্বাচনে বস্তাভর্তি ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলেও ওই ভোটে অনিয়মের কোনো প্রমাণ পায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ডাকসু নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে গঠিত কমিটি তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। সেখানে অনিয়মের প্রমাণ না পাওয়ার কথা উঠে এসেছে বলে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য জানিয়েছেন।

দুই মাসব্যাপী তদন্ত শেষে কমিটি এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন। এতে ভবিষ্যতে ডাকসুর নির্বাচনকে আরও বেশি ‘গ্রহণযোগ্য’ করতে কমিটির পক্ষ থেকে কিছু পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উঠা অনিয়মের অভিযোগগুলোর উল্লেখযোগ্য কোনো প্রমাণ মেলেনি।

সভায় অংশ নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিন্ডিকেট সদস্য সাংবাদিকদের জানান, ডাকসু নির্বাচনের দিন কোনো ভোটার (শিক্ষার্থী) ভোট দিতে পারেননি, এমন কোনো লিখিত অভিযোগ তদন্ত কমিটি পায়নি। ভোট দিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন, এমন অভিযোগও কেউ তাদের কাছে করেননি। ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা হট্টগোলের তথ্যও পাওয়া যায়নি।

তিনি জানান, শুধু ভোটারদের সারির ক্ষেত্রে কিছুটা অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ভবিষ্যতে ডাকসু নির্বাচনকে আরও গ্রহণযোগ্য করতে ব্যালট পেপারে নম্বর সংযোজন ও ভোটারদের হাতে অমোচনীয় কালি ব্যবহারের ব্যাপারে সুপারিশ করেছে কমিটি।

তবে গঠিত কমিটির তদন্তে নির্বাচনে কোনো অনিয়ম প্রমাণিত না হলেও ওই সময়ে কুয়েত মৈত্রী হলে ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় হলটির ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে প্রথমে ওই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। পরে তাকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক সাজেদা বানুকে আহবায়ক ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমানকে সদস্যসচিব করে গঠিত ওই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ইমদাদুল হক, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. মহিউদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিক উজ জামান, সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক শারমিন রুমি আলীম।

উল্লেখ্য, ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করে এতে অংশ নেয়া পাঁচটি প্যানেল। প্যানেলগুলোর অভিযোগ ও আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২১ মার্চ সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: