১২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিচ্ছে সিআইডি

প্রায় দেড় বছর তদন্ত করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা এবং বিসিএসসহ বিভিন্ন সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগের ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানার মামলায় ১২৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডিপ্রধান ডিআইজি মোহা. শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল ফিতরের পরে আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেয়া হবে।

তিনি বলেন, অভিযোগপত্রভুক্ত ১২৫ জনের মধ্যে ৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, যাদের মধ্যে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মোট ৪৭ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে খুব শিগগির চিঠি দেয়া হবে বলে জানান সিআইডিপ্রধান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ছিল গত বছরের ২০ অক্টোবর। তার আগের রাতে শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মহিউদ্দিন রানা ও আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাদের কাছ থেকে এটিএম কার্ডের মতো দেখতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়, যা দিয়ে পরীক্ষা চলাকালে কানে আরেকটি ডিভাইস রাখা পরীক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা এবং ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯ (খ) ধারায় পরদিন তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করে সিআইডি। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের অন্যদের গ্রেপ্তার করে।

ডিআইজি মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল তদন্তের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াত চক্রকে চিহ্নিত করে। তদন্তকালে আসামিদের নগদ ২০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: