ভূমধ্যসাগর দিয়ে মানব পাচার, সিলেটে দুজন রিমান্ডে

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে মানব পাচারে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার এনামুল হক ও তার সহযোগী আব্দুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ইকোনমি ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা মেহের বানু  এ আদেশ দেন।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক শুনানি শেষে এনামুলের ছয় দিন ও রাজ্জাকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে ফেরা ফেঞ্চুগঞ্জের বিল্লাল হোসেন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান শহিদুল ইসলাম।

গত ১০ মে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। দালালদের আট থেকে দশ লাখ টাকা দিয়ে সংঘাতময় লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে তারা ইতালি যাচ্ছিলেন।

ওই নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩৯ বাংলাদেশির একটি তালিকা সরকারের পক্ষ প্রকাশ করা হয়। নিহত ও নিখোঁজদের মধ্যে অন্তত ২২ জনের বাড়ি বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে; চারজনের বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জে।

এ ঘটনায় নিহত আব্দুল আজিজের ভাই ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মুহিদপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন গত ১৬ মে রাতে সিলেটের এনামুল হকসহ ২০ মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন।

সিলেটের রাজা ম্যানশনের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজের মালিক গোলাপগঞ্জ উপজেলার পনাইরচক গ্রামের এনামুল হক, একই উপজেলার হাওরতলা গ্রামের ইলিয়াস মিয়ার ছেলে জায়েদ আহমেদ, ঢাকার রাজ্জাক হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মঞ্জুর ইসলাম ওরফে গুডলাক এবং তাদের ১০-১৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় সহযোগীকে মামলায় আসামি করা হয়। ওই রাতেই এনামুলসহ তিন মানবপাচারকারীকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: