ময়মনসিংহের ফুলপুরে নির্যাতনের পর খাদিজা খাতুন (২১) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর শাশুড়ি আনোয়ারা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার বাতিকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরই স্বামী, শাশুড়ি, দেবর ও ননদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ফুলপুর উপজেলার বাতিকুড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মো. খলিলুর রহমানের সঙ্গে ৮/৯ মাস আগে আমুয়াকান্দার আব্দুল খালেকের মেয়ে খাদিজা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন খাদিজার ওপর প্রায়ই নির্যাতন করতো। কিছুদিন আগেও খাদিজাকে মারপিট করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ১০/১২ দিন আগে সালিসের মাধ্যমে তাকে আবারও স্বামীর বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
শুক্রবার বিকেলে স্বামী খলিলুর রহমান ও বাড়ির লোকজন খাদিজার সঙ্গে ঝগড়া করে। ঝগড়ার পর রাতে স্বামী ও তার লোকজন খাদিজার ওপর নির্যাতন করলে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে রাতেই খাদিজাকে ফুলপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন হাসপাতালে খাদিজার লাশ ফেলে রেখে স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ফুলপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। খাদিজাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
খাদিজার বাবা আব্দুল খালেক বলেন, পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের ওপর অত্যাচার চলে আসছে। শুক্রবার রাতে তার স্বামী, শ্বাশুড়ি, দেবর ও ননদ মিলে আমার মেয়েকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পর লাশ হাসপাতালে রেখে তারা পালিয়েছে।
ফুলপুর থানার এসআই সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- খাদিজাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর শাশুড়ি আনোয়ারা খাতুনকে আটক করেছে।
টাইমস/এইচইউ