র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের(র্যাব) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে তিনজন নিহত হয়েছেন।
র্যাব দাবি করেছে, চট্টগ্রামে নিহত দুজন ডাকাত এবং গাজীপুরে নিহত ব্যক্তি মাদক কারবারি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা ব্রিজ সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মঙ্গলবার ভোর রাতে বন্দুকযুদ্ধে দুজন ‘ডাকাত’ নিহত হয়েছে। নিহতদের 'ডাকাত' বললেও তাদের পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব। দুজনের বয়স আনুমানিক ২৪ ও ৩২ বছর।
‘রাতে মহাসড়কে টহল দেয়ায় সময় আমাদের কাছে খবর আসে ব্রিজের নিচে একদল ডাকাত অবস্থান করছে। আমাদের টহল দলের সদস্যরা সেখানে গেলে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। আত্মরক্ষার্থে আমরাও গুলি ছুড়লে দুইপক্ষের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষে কিছু সময় ‘গুলি বিনিময়ের পর’ ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে দুই জনের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়’- বলেন র্যাব-৭ এর সহকারী পররিচালক এএসপি মাশকুর রহমান।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ানশুটার গান, ৩১ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান।
এদিকে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে গাজীপুরের টঙ্গীর নদীবন্দর এলাকায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ইসমাইল হোসেন (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি ফরিদপুর জেলার চাঁদ হাট এলাকার রাশেদ মোল্লার ছেলে।
র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, ইসমাইলের বিরুদ্ধে ঢাকার বনানী থানায় ১৪টি, গোপালগঞ্জ থানায় ১টি এবং ফরিদপুরের নগরকান্দা থানায় ২টি মাদক মামলা আছে।
‘টঙ্গীর নদীবন্দর এলাকায় মাদক কেনাবেচার খবর পেয়ে র্যাবের টহল টিম সেখানে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ইসমাইল গুলিবিদ্ধ হয়, অন্যরা পালিয়ে যায়’- বলেন র্যাব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।
গুলিবিদ্ধ ইসমাইলকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ১টি রিভলভার, ২ রাউন্ড গুলি এবং বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
টাইমস/এসআই