সোনারগাঁও জাদুঘরের সাবেক পরিচালক ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় আটক

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক ও কবি রবীন্দ্র গোপকে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় সরকারি বাংলো থেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা একজন নারীকেও আটক করা হয়।

জাদুঘরের ভেতরে ডাক বাংলো থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। বেলা ১২টার দিকে প্রায় ২৫ বছর বয়সী এক নারী সন্দেহজনক ভাবে ডাক বাংলোর কক্ষে প্রবেশ করে। সেখানে আগে থেকেই রবীন্দ্র গোপ অবস্থান করেছিলেন। ভিতরে প্রবেশের পরেই তারা দরজা বন্ধ করে দেন। তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের সময় বাহিরে লোকজনের অবস্থান টের পেয়ে সাবেক পরিচালক রবীন্দ্র গোপ এর সহযোগিতায় ওই নারী কৌশলে পকেট গেইট দিয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের হাতে ধরা পরে। পরে পুলিশ খবর দিলে সোনারগাঁও থানার এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রবীন্দ্র গোপ ও সোনিয়া আক্তার মীম নামে এক নারীকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।

সরকারি বাংলাতে নারী এনে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে রবীন্দ্র গোপকে আটক করে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক নারীসহ তাকে আটক করা হয় বলে জানান সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও রবীন্দ্র গোপের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির জোড়ালো অভিযোগ উঠেছিল। আটককৃত রবীন্দ্র গোপ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার উকমাইল গ্রামের মৃত উপেন্দ গোপের ছেলে। আর সোনিয়া আক্তার মীমের বাড়ি সোনারগাঁয়ে সাদিপুর ইউনিয়নের কাঠালিয়াপাড়া গ্রামে। 

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ১৭ মে। এই দিন থেকে অতিরিক্ত পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেব দায়িত্ব পালন করছিলেন জাদুঘরের কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম।

পরবর্তীতে গত ৩ জুন বিসিএস প্রশাসনের উপপরিচালক ড. আহমদ উল্লাহ প্রেষনে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। এর আগে দায়িত্বে থাকা কবি রবীন্দ্র গোপ গত ১০ বছর আগে যাদুঘরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। এরপর কয়েক দফায় চুক্তি নবায়ন করে তিনি ১০ বছর পার করে দেন। তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি এখনো সরকারি বাংলোতে বসবাস করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: