অবশেষে ওসি মোয়াজ্জেম ঢাকায় গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ২০ দিন লাপাত্তা থাকার পর ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সর্দার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, 'রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হাইকোর্ট এলাকার আশপাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়েছে।'

ফেনীতে হত্যাকাণ্ডের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোয় অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলার আসামি সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মে পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু তা তামিল নিয়ে ফেনী ও রংপুর পুলিশের মধ্যে শুরু হয় ঠেলাঠেলি।

শেষ পর্যন্ত রোববার শাহবাগ থানা সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এর দিন দশেক আগে নুসরাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন। ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

৩১ মে পরোয়ানার চিঠি ফেনীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ সুপার কাজী মনির-উজ-জামান বারবার বিষয়টি অস্বীকার করতে থাকেন। একপর্যায়ে ৩ জুন রাতে পরোয়ানা হাতে পাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। এর দুই দিন পর বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পরোয়ানা রংপুর রেঞ্জে পাঠানো হয়। তখন রংপুর রেঞ্জ বলছিল, কাজটি বিধি মোতাবেক হয়নি। পুলিশের এই গড়িমসির সুযোগে মোয়াজ্জেম হোসেন তখন সটকে পড়েন।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: