পাঁচ বছর বয়সী মরিয়ম গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান না পেয়ে তার বাবা জামসু হোসেন শনিবার রাতে নাটোরের গুরুদাসপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি করার এক দিনের মাথায় বাড়ির পাশের বাঁশবাগান থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নে দড়িবামনগাড়া গ্রামে শিশুটির বাড়িসংলগ্ন একটি বাঁশবাগান থেকে রোববার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের গলায় লতাগুল্ম প্যাঁচানো ছিল।
পুলিশ ধারণা করছে, শিশুটিকে হয়তো যৌন নিপীড়নের উদ্দেশ্যেই কেউ বাঁশবাগানে নিয়ে গেছে। ব্যর্থ হয়ে লতাগুল্ম পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে।
মরিয়ম জামসু হোসেনের ছোট মেয়ে। মরিয়মের বড় বোন জেসমিন নবম শ্রেণিতে পড়ে।
এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মরিয়মের প্রতিবেশী ৩০ বছরের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শিশুর মরদেহটি নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, লাশের গলায় প্যাঁচানো লতা-গুল্ম আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে, শিশুটিকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছিল কি না।
টাইমস/এসআই