নানা অভিযোগের মধ্য দিয়ে রাইড সেবাদাতা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ব্যবসা করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও নীতিমালা না থাকায় এত দিন ব্যবস্থা নিতে পারছিল না বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। অবশেষে অ্যাপভিত্তিক রাইড সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি।
বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) মো. লোকমান হোসেন জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশসহ (ডিএমপি) সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জুলাই থেকেই রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গতবছর ১৫ জানুয়ারি বিআরটিএর প্রণীত ‘রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা ২০১৭’ অনুমোদন করে সরকার, যা ওই বছরের ৮ মার্চ থেকে কার্যকরের কথা ছিল। ওই নীতিমালায় রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের জন্য লাইসেন্স (এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট) নেয়া বাধ্যতামূলক করা হলেও নীতিমালার শর্ত পূরণ না হওয়ায় কাউকে লাইসেন্স দেয়া যায়নি।
গত ১৩ জুন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পর্যালোচনা সভায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিআরটিএ’র পক্ষে সব মোটামুটি সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে লোকমান হোসেন বলেন, ‘কিন্তু রাইড শেয়ারিং অ্যাপ থেকে ন্যাশনাল ইমারজেন্সি হেল্পলাইনে (৯৯৯) কল করার ব্যবস্থা নিয়ে একটু ঝামেলা ছিল। পুলিশের যে কাজটা করার কথা ছিল সেটা করতে পারেনি। এখন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সেটা ছাড়াই লাইসেন্স দেয়া হবে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জুলাইয়ের শেষ নাগাদ রাইডশেয়ারিং অ্যাপগুলোর সঙ্গে ৯৯৯ যুক্ত হবে। একেক প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ্লিকেশন একেক রকম। এ কারণে সমন্বয় করতে সমস্যা হচ্ছিল। আমরা সবার সঙ্গে বসে এটা ঠিক করতে কাজ করছি। এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে।’
ভ্রমণের দূরত্ব অনুযায়ী রাইড শেয়ারিং অ্যাপে সবোর্চ্চ ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত বছরের ২২ এপ্রিল লাইসেন্সের জন্য প্রথম আবেদন করে রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা পাঠাও। এরপর আরো ১৬ টি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। তাদের মধ্যে ওভাই সলিউশনস লিমিটেড, উবার বাংলাদেশ লিমিটেড, পিকমি লিমিটেড রয়েছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে রাইড শেয়ারিং নীতিমালার কিছু ধারা পূরণ না করায় লাইসেন্স দেয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু কোম্পানিগুলোর সেবাও বন্ধ করা হয়নি।
টাইমস/এসআই