ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ট্যুরিস্ট সোসাইটির কক্ষে একজন ছাত্র ও ছাত্রী দীর্ঘ রাত পর্যন্ত অবস্থান করছেন বলে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে খবর আসে।
তারা রাত ১টার দিকে টিএসসিতে গিয়ে ওই কক্ষের দরজা বন্ধ ও লাইট নেভানো দেখতে পান। দীর্ঘ ১০ মিনিট দরজা ধাক্কানোর পর দরজা খুলে ওই দুই শিক্ষার্থী বেরিয়ে আসেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টা ১০মিনিটে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাদের আটক করেন। এত রাতে তারা এই কক্ষের ভেতরে কি করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আটককৃত ছাত্র বলেন, কক্ষের ভেতরে তারা ঘুমাচ্ছিলেন।
আটককৃত দুইজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী। এরা দুজনেই নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত দুটি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
হল থাকতে কেন টিএসসির এই কক্ষের ভেতর ঘুমাচ্ছিলেন? তা জানতে চাইলে ওই ছাত্র বলেন, তার সঙ্গীয় ছাত্রীর বাড়ি গাজীপুরে। সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছায়। ১০টার পরে আর হলে প্রবেশের সুযোগ নেই। তাই তিনি টিএসসির ওই কক্ষে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নারী শিক্ষার্থী বাসা থেকে হলে ফিরতে বেশি রাত হয়ে গেলে হল প্রভোস্ট বা সংশ্লিষ্ট ব্লকের শিক্ষক অথবা প্রক্টরিয়াল বডির সাহায্য নিয়ে হলে প্রবেশ করার সুযোগ রয়েছে।
তাদের পরিচয় জানতে চাইলে প্রথম ভুল তথ্য দেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি তাদের আসল পরিচয় বের করেন।
পরিচয় পাওয়ার পর জানা যায়, তাদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য। রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সিআইডি প্রশ্নফাঁসে জড়িত ঢাবির ৮৭ জনসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। তার মধ্যে ওই ছাত্রীও আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী এ সম্পর্কে জানান, দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিজ নিজ হলে পাঠানো হয়। পরে তাদেরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
টাইমস/এসআই