ঘুষ কেলেঙ্কারিতে এনামুল বাছিরের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে: দুদক

পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে।

অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ার পর এনামুল বাছিরকে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চিঠিও দিয়েছে দুদকের অনুসন্ধান টিম।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ পরিদর্শক (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পরিচালক (সাময়িক বরখাস্তকৃত) খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেন ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের সত্যতা দুদকের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন। ইতিমধ্যে তাকে তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি সপরিবারে দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য তার বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।

এছাড়া চিঠিতে তার নাম ও ঠিকানার বর্ণনা এবং পাসপোর্টের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ২৪ জুন ঘুষের কেলেঙ্কারির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক।

পুলিশের সদ্য বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।

মিজান ঘুষ দেয়ার বিষয়টি মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ার পর এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যদিও পরিচালক এনামুল বারবার দাবি করেন রেকর্ডকৃত বক্তব্যগুলো কণ্ঠ নকল করে বানানো।

এরপর ঘুষের বিষয়টি অনুসন্ধান করার জন্য দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দায়িত্ব দেওয়া হয়।

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on: