গাজীপুরের শ্রীপুরের অটো স্পিনিং মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বুধবার ভোর ৪টার দিকে আরও তিনটি অঙ্গার দেহ ও দুপুরে আরও দুইটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ছয়জনে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ওই কারখানায় আগুন লাগার পর টয়লেটে আটকা পড়া রাসেল নামে এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়। পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া লাশগুলো চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপজেলার নয়নপুরের ফরিদপুর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ওই স্পিনিং মিলের তুলার গুদামে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৮টি ইউনিট প্রায় ১১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর কর্মীরা কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে ডাম্পিং শুরু করেন।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ভোর রাতে কারখানার ভেতরে তিনটি পোড়া লাশ পাওয়া যায় জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান বলেন, সেগুলো পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে।
এই তিনজন হলেন- শ্রীপুর উপজেলার দক্ষিণ দুয়ার জয়নাল আবেদীনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮), হাসান আলীর ছেলে মো. শাহ জালাল (২৮) এবং কালিয়াকৈরের ভান্নারা মৌচাক এলাকার শামসুল হকের ছেলে সেলিম মিয়া (৩৫)।
নিখোঁজ শাহজালালের ভগ্নিপতি ইমরান জানান, পুড়ে যাওয়া লাশগুলো চিহ্নিত করা কঠিন। তবে শাহজালাল যে কক্ষে কর্মরত ছিল, ওই কক্ষের পাশ থেকে একটি লাশ উদ্ধার হওয়ায় ধারণা করছি এটাই শাহজালালের লাশ।
এদিকে নিখোঁজ আনোয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার চাচাতো ভাই সজিব। তিনি জানান, আগুনের পরপরই তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। এক-দেড় ঘণ্টা পর তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, বুধবার ভোরে যে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, এর মধ্যে আনোয়ারের লাশ রয়েছে। একটি দেহের সম্পূর্ণ পুড়ে গেলেও মুখের দাড়ি না পোড়ায় আমরা নিশ্চিত হয়েছি এটাই আনোয়ারের লাশ।
নিহত আনোয়ার (২৭) উপজেলার দক্ষিণ ধনুয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে এবং শাহজালাল (২৬) শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের হাছেন আলীর ছেলে। বাকি একজনের পরিচয় এখনও মেলেনি।
টাইমস/জিএস/এসআই