ওয়ারীতে শিশুকে ধর্ষণ-হত্যায় জড়িত পাশের ফ্ল্যাটের যুবক গ্রেপ্তার

পুরান ঢাকার ওয়ারীতে বহুতল ভবনের ফাঁকা ফ্ল্যাটে সামিয়া আফরিন সায়মাকে(৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে হারুন উর রশিদ (২৬) নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পূর্ব) মো. আসাদুজ্জামান রিপন।

ওয়ারীর বনগ্রামের যে বহুতল ভবনে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে, তার সপ্তম তলায় থাকতেন হারুন। গ্রেপ্তার হারুনের বাড়ি কুমিল্লায়।

এই ভবনের নয় তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটে শুক্রবার রাতে সাত বছর বয়সী শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় শিশুটি পরিবারের সঙ্গে থাকত। গত ফেব্রুয়ারিতে ওই ভবনে ফ্ল্যাট কেনার পর সামিয়ার বাবা পরিবার নিয়ে সেখানে ওঠেন।

শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ওই মেয়েটি একটি স্কুলে নার্সারিতে পড়ত।

অন্য ফ্ল্যাটের শিশুদের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার কথা বলে প্রতিদিনের মতই বাসা থেকে বের হয়েছিল সে। কিন্তু রাত হওয়ার পরও না ফেরায় তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে।

নবম তলায় খালি ফ্ল্যাটের ভেতরে তাকে পাওয়া যায় গলায় রশি প্যাঁচানো, মুখ বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায়।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের  অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নুরুল আমিন জানিয়েছেন।

শনিবার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে সায়মার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেন সোহেল মাহমুদ। তদন্ত শেষে সোহেল মাহমুদ জানান, বাহ্যিকভাবে শিশুটির গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার আলামত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ঠোঁটে কামড়ের চিহ্ন এবং যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এ আলামত আমরা পেয়েছি। সোহেল মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে আরও স্পষ্ট হতে হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াবের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সব নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। এসব প্রতিবেদন পাওয়া গেলে শিশুটির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকালে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয় শিশুটিকে।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: