ঢাকা চারটি জোনে ওয়াসার এলাকার পানিতে মল ও ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব পাওয়ার ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে লিখিত আকারে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য ওয়াসাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩ জুলাই ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে চারটি এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনীঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত আটটি নমুনার পানিতে দূষণের তথ্যসংক্রান্ত প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যলয়ে জমা দেয়া হয়। প্রতিবেদনে এসব এলাকার পানিতে ক্ষতিকর আর্সেনিক, ক্লোরিন, অ্যামোনিয়া ও ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে এবং কিছু কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে তথ্য উঠে আসে।
সম্প্রতি ঢাকার ১০টি জোনের ৩৪টি পয়েন্টের আটটি পানির নমুনা পরীক্ষা করেছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। পরীক্ষায় চারটি জোনের আটটি পয়েন্টে র পানি দূষিত থাকার প্রমাণ মিলেছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) ল্যাবে এই পরীক্ষা করা হয়।
টাইমস/এসআই