চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণে ভূমি ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী প্রায় ৭০০ পরিবারকে আটটি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার রাত ১০টার মধ্যে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার রাজিব হোসাইন।
রাজিব হোসাইন বলেন, সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে চান্দগাঁও, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ ও কাট্টলী মিলে তিনটি সার্কেলের ৭০০ পরিবারের প্রায় ২ হাজার মানুষ আটটি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।
এর মধ্যে বাকলিয়া সার্কেলের আওতাধীন লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২০টি, চান্দগাঁও সার্কেলের আওতাধীন রৌফাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৭টি ও আলহেরা ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ২০০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
এছাড়া আগ্রাবাদ সার্কেলের আওতাধীন ছৈয়দাবাদ স্কুলে ২০টি, কাট্টলী সার্কেলের আওতাধীন কোয়াড পি-ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৮টি, ফিরোজ শাহ ই-ব্লক স্কুলে ৭৯টি, চট্টগ্রাম মডেল হাইস্কুলে ৮০টি এবং কৈবল্যধাম বায়তুল আমান মাদ্রাসায় ৪৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতদের মাঝে খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। ছবি সংগৃহীত
আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া এসব পরিবারকে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি চিড়া, ১ প্যাকেট দিয়াশলাই ও ১ প্যাকেট মোমবাতির ১ ত্রাণ প্যাকেট এবং তিন বেলা রান্না করা খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার বৃষ্টি শুরুর পর থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হয়। পাশাপাশি সহকারি কমিশনার (ভূমি) স্যাররা অভিযান চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে এনেছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ভূমিধসের আশঙ্কা থাকায় প্রাণহানি এড়াতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী লোকজনকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। যাদের শহরে আত্মীয়-স্বজন আছে তারা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় চলে যাচ্ছেন। অন্যদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে।
টাইমস/এইচইউ