টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তা-ঘাট ডুবে গিয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় এনেছে চরম দুর্ভোগ। দেশের অনেক নিম্নাচল প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে বন্যার প্রকোপ।
চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে কয়েক দিন আগে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এখন এই বৃষ্টি ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা সোয়া ২টা পর্যন্ত সোয়া দুই ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামী দুদিন ভারী বৃষ্টি চলবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে ১৬৫, হাতিয়ায় ১৩৫, সীতাকুণ্ডে ১২৯, টাঙ্গাইলে ১২২, কুতুবদিয়ায় ১১১, সন্দ্বীপে ১০১ এবং চট্টগ্রামে ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দুপুর ১২টার পর বৃষ্টির দাপট বাড়তে থাকে দেশের মধ্যাঞ্চলে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দুপুর ১২টা থেকে বেলা সোয়া দুইটা পর্যন্ত ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।
শুক্রবার সকাল নয়টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় শুক্রবার রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে- আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস এসব তথ্য জানিয়েছেন।
টাইমস/এসআই