সাভারে ছেলেধরা সন্দেহে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার সকালে তেঁতুলঝোড়া এলাকায় এ গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ওই নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
তবে গণপিটুনির পর এলাকাবাসী বলছেন, তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ না থাকলেও হুজুগে তারা এই নারীকে পিটিয়েছেন।
রাজধানীর বাড্ডায়ও শনিবার সকালে তাসলিমা বেগম রেনু (৪০) নামের এক নারীকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। তিনি সন্তানকে ভর্তি করানোর জন্য খোঁজ নিতে বাড্ডার একটি প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছিলেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অজ্ঞাত পরিচয় ওই নারী প্রথমে তেঁতুলঝোড়া এলাকার জজ মিয়ার বাড়িতে বাড়ি ভাড়া নিতে যান। সেখানে পছন্দমতো ঘর না পরে পাশ্ববর্তী ফারুক মিয়ার বাসায় যান। বাসা দেখে বের হওয়ার সময় কে বা কারা তাকে ছেলেধরা বলে মারধর শুরু করে।
তারা জানান, এরপর আশপাশের লোকজন বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে আসে। একপর্যায়ে ওই নারীকে গণপিটুনি দিয়ে মারতে মারতে প্রায় পাঁচশ গজ দুরে হেমায়েতপুর-শিঙ্গাইর সড়কে নিয়ে যায় লোকজন।
এ সময় মারধরের কারণে নারীর পরনের বোরখা ও জামা ছিঁড়ে যায়। উত্তেজিত জনতা ওই নারীকে ছেলেধরা বলে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে এবং পা দিয়ে পিশে মারতে থাকলে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঘটনাটি সাভার মডেল থানায় জানানো হলে মুহুর্তে স্থানীয় ট্যানারি ফাঁড়ির কর্মকর্তা এমারত হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তবে গণপিটুনিতে অংশ নেয়া অনেকের কাছে মারধর এবং কার বাচ্চা ধরতে আসছিল সে বিষয়ে জানতে চাইলে কেউই সদুত্তর দিতে পারেনি।
এ ঘটনায় উল্লেখিত বাড়ি দুটিতে গিয়েও জিজ্ঞাসা করলে সবাই তাদের সম্পৃক্তকতা অস্বীকার করেন।
সাভার মডেল থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, কে বা কারা অজ্ঞাত ওই নারীকে ছেলেধরা অপবাদ দিয়ে গণপিটুনি দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টাইমস/জেডটি