২০১৭ সালে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বাসার সামনে বিভিন্ন রকম পাগলামি করা সেই নারী এবার তার ‘বিচার দাবিতে’ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। একই সঙ্গে পুলিশের দুই কর্মকর্তারও শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
ওই নারীর নাম মাসুমা আক্তার। পুলিশের দাবি ওই নারী একজন মানসিক ভারসাম্যহীন।
সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে মাশরাফিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেন ওই নারী।
তবে ওই নারী ঠিক কী কারণে মাশরাফির শাস্তি দাবি করছেন, সে বিষয়ে তার লিখিত বক্তব্যে স্পষ্ট কিছু বলেননি।
এ বিষয়ে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের এসআই মহিদুল ইসলাম বলেন, ওই নারী একজন মানসিক রোগী। তার বাবা-মা ও স্বামীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারাও তার মানসিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, চার দিন ধরে ওই নারী বাসা থেকে পলাতক রয়েছেন।
পল্লবী থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম বলেন, এর আগে ২০১৭ সালেও মাসুমা আক্তার নামের এ নারী মাশরাফির বাসার সামনে বিভিন্ন রকম পাগলামি করতেন। পরে ওই নারীর অসংলগ্ন আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে থানায় একটি জিডি করেছিলেন মাশরাফি।
আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে লড়বেন ক্রিকেটার মাশরাফি। নির্বাচনের আগে এ ধরনের অপপ্রচারের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, এমনটা হতেও পারে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।
ওই নারীর বাবা-মা ও স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুমা আক্তার বলেন, ‘২০১৫ সালের মে মাসে আমি একটি ফেসবুক আইডি চালু করি। যার সুবাদে আমার আইডি আমার অজান্তে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এখন আমার পাশে বিশ্বের হাজার হাজার কোটি মানুষ আমার মুক্তির অপেক্ষায় আছে।’
‘আমার দেশের ১৬ কোটি মানুষও আমার মুক্তির অপেক্ষায় আছে। কিন্তু আমাকে বের হতে দেয় না মাশরাফি ও এই দেশের অবৈধ ক্ষমতাধারীরা।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘পুলিশের কাছে এই অভিযোগ জানাতে গেলে তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ জন্য ডিএমপি অফিসার সাঈদ ও তার সহযোগী মইনুলেরও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
তবে ওই নারী ঠিক কী কারণে মাশরাফির শাস্তি দাবি করছেন, সে বিষয়ে তার লিখিত বক্তব্যে স্পষ্ট করেননি। কী কারণে ক্রিকেটার মাশরাফির শাস্তি চাইছেন জানতে চাইলে মাসুমা আক্তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
টাইমস/এইচইউ