৫০টি পশুর হাট বসতে পারে বরিশালে

বরিশালে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রায় অর্ধশত পশুরহাট বসার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর বরিশাল নগরে দু’টিসহ জেলার ১০ উপজেলায় ১৬টি স্থায়ী ও ৩০টি অস্থায়ী পশুরহাট বসেছিল।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) সূত্র জানায়, এ বছর এখনো অস্থায়ী পশুরহাটের অনুমোদন দেয়া হয়নি। তবে নগরের বাঘিয়ায় ও পোর্ট রোডে দুইটি স্থায়ী পশুরহাট রয়েছে। গতবছর নগরের রূপাতলী মোল্লাবাড়ির মাদ্রাসা মাঠ, কালিজিরা বাজার ও সিঅ্যান্ডবি রোড সেচ ভবনের পাশে তিনটি অস্থায়ী পশুরহাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।

বরিশালে কোরবানির চাহিদা সম্পর্কে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, বিভাগের ছয় জেলায় চাহিদার অর্ধেকের কিছুটা বেশি পশুর জোগান স্থানীয়ভাবে দেয়া সম্ভব হবে। অবশিষ্ট চাহিদা মেটাতে সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, বাগেরহাট, ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু আমদানির ওপর নির্ভর করতে হবে।

ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ এবং মাংসের দাম চড়া হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের নতুন খামারির সংখ্যা বাড়ছে। তবে কোরবানির পশুর পর্যাপ্ত চাহিদা মেটাতে আরও সময় লাগবে বলে জানান বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল ইসলাম।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারণা, আগের বছরের চেয়ে এবার কোরবানি দেয়া মোট গবাদিপশুর চেয়ে ২ থেকে ৩ শতাংশ চাহিদা বাড়তে পারে। সে হিসাবে বরিশাল বিভাগে এবার কোরবানিতে প্রায় ৪ লাখ ৯০ হাজার কিংবা ৫ লাখ গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে।

তবে কোরবানির পশু দাম বা যোগান নিয়ে হতাশার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কানাই লাল।

তিনি জানান, দেশে কোরবানির চাহিদার থেকে বেশি পশু রয়েছে।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: