খুলনায় থানায় নারীকে গণধর্ষণ: ওসিসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

খুলনার জিআরপি (রেলওয়ে) থানায় নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ওই থানার ওসি ওসমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে জিআরপি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ০৩।

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও রেলওয়ে পুলিশের কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ জানান, মামলায় ওসি ওসমান গণি, ঘটনার রাতের ডিউটি অফিসার ও অজ্ঞাত তিনজন পুলিশ সদস্যকে আসামি করে ওই নারী মামলা করেছেন। খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে ২০১৩ সালের ‘হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইনে’ মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।

এর আগে, ২ আগস্ট খুলনার জিআরপি থানার ওসি ওসমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক নারীকে (২১) গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশে সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

ভুক্তভোগী ওই নারীর দুলাভাই শাহাবুদ্দিন মাতুব্বর জানান, গত ২ আগস্ট শুক্রবার তার ছোট শ্যালিকা যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন। এদিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গনি পাঠান এবং পরে আরও ৪ পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ধর্ষণ করে।

পরদিন ওই নারীকে ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে বিচারকের সামনে নেওয়ার পর ওই নারী জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। এরপর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন।

এ ঘটনায় ৫ আগস্ট পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে বুধবার (৭ আগস্ট) থানার ওসি ওসমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুল হককে জিআরপি থানা থেকে ক্লোজ করে পাকশি জেলা রেলওয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন...

খুলনায় থানায় নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ওসি ও এসআই প্রত্যাহার

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: