প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে আলোচিত হবে তিস্তা, রোহিঙ্গা ও নাগরিকপঞ্জি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার ভারতে যাচ্ছেন। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, আসামের নাগরিকপঞ্জি এবং সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ তুলবে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে নয়া দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ভারতের রাজধানীতে পৌঁছাবে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইট। এই সফরে নয়া দিল্লির হোটেল তাজমহলে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে এই সফরে নয়া দিল্লিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত ইন্ডিয়ান ইকোনোমিক সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘টেগর পিস অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হবে।

বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরকালে প্রকৃতপক্ষে কয়টি চুক্তি হতে পারে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না, তবে এইটুকু বলতে পারব কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।

৫ অক্টোবর দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এ চুক্তিগুলো স্বাক্ষর হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আগামী ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লীতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু এবং সীমান্ত হত্যা ইস্যুটি আলোচনায় স্থান পাবে।

তিনি বলেন, ‘হাসিনা-মোদির বৈঠকে তিস্তার সাথে সকল আন্তঃসীমান্ত নদী নিয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সহায়তা এবং সীমান্ত হত্যা কমিয়ে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসাসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সকল দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: