সুইসাইড নোট লিখে ‘ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে’ আত্মহত্যা’ করেছে সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থীর নাম বকুল চন্দ্র দাস। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার সোয়াগাও গ্রামের রানু দাশের ছেলে তিনি। শাহপরান হলের বি ব্লকের ১২০ নম্বর রুমে থাকতেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ তার বিছানার নিচ থেকে ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করেছে। তাতে বকুলের নাম-স্বাক্ষর কিছু না থাকলেও তার হাতের লেখার সঙ্গে সুইসাইড নোটের লেখার মিল রয়েছে।
সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, “আমি স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে বিষ খেয়ে নিজের মৃত্যুকে স্বীকার করে নিচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য কোনো রুমমেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু কেউ দায়ী নয়। আমি কারো কারণে মনে আঘাত পেয়ে বিষ খাই নাই। আমি নিজের ইচ্ছায় বিষ খেয়েছি। জীবনের প্রতি আমার ধিক্কার চলে আসছে। দুঃখ, কান্না, অবহেলা আমার মস্তিষ্ক আর নিতে পারছিল না। তাই আমি স্বেচ্ছায় মারা গেছি।”
বকুলের রুমমেট নাবিল দেব নাথ বলেন, বুধবার রাতে আমরা প্রতিদিনের মতো খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ বকুল বমি করতে থাকেন। পরে তাকে দ্রুত সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, বকুল বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের বলে আসছিল 'আমি (বকুল) আপনাদের মধ্যে আর বেশি দিন থাকবো না'। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে কখনো কিছু শেয়ার করেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমদ বলেন, বুধবার রাতে শাহপরাণ হলের এক শিক্ষার্থী আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, তার রুমমেটের ‘ফুড পয়জনিং’ হয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই শিক্ষার্থী ইঁদুর মারার বিষ খেয়েছে এটি কাউকে জানায়নি। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা লালা পরীক্ষা করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জালালাবাদ থানার ওসি ওকিল উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
টাইমস/এইচইউ