সম্রাটের কার্যালয়ে মদ, ইয়াবা, পিস্তল ও ক্যাঙ্গারুর চামড়া

ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত-সমালোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে রোববার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) গ্রেপ্তার করে।

কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এনে সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয় ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে বেলা সোয়া একটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা, বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ক্যাঙারুর চামড়া উদ্ধার করা হয়।

একই সময় সম্রাটের ভাইয়ের শান্তিনগরের বাসা ও সম্রাটের মহাখালীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। তবে সেখান কী পাওয়া গেছে তা জানায়নি র‌্যাব।

যা উদ্ধার হয়েছে সম্রাটের কার্যালয় থেকে

সম্রাটের কার্যালয় থেকে ১ হাজার ১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি, ২টি ইলেক্ট্রিক শক দেয়ার লাঠি ও দুটি ক্যাঙারুর চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাবের মুখপাত্র সারওয়ার বিন কাশেম। তিনি জানান আরও তথ্য পেতে রিমান্ড প্রয়োজন।

র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ মামলায় সম্রাটকে ৬ মাসের জেল দেয়া হয়েছে। অস্ত্র ও মাদক মামলাসহ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এরআগে ১৮ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এরপর ধরা পড়েন রাজধানীর 'টেন্ডার কিং' খ্যাত আরেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। প্রকাশ্যে চলে আসে সুন্দর অবয়বের আড়ালে সম্রাটের কুৎসিত জগৎ। এতে করে বেকায়দায় পড়েন সম্রাট।


টাইমস/এএইচ/এসআই

Share this news on: