ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত ঋণ ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা তার বার্ষিক আয় হলেও নেই কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি! অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের মালিক আতিকুলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ৬শ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ব্যক্তিগত সম্পদ বেশি। নেই ব্যক্তিগত কোনো ঋণ। ৪ কোটি ১২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বার্ষিক আয় হলেও তাবিথ আওয়ালের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ৩শ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় এসব তথ্য দিয়েছেন মেয়র পদের এই দুই প্রার্থী। তবে হেভিওয়েট এই দুই প্রার্থীর হলফনামা অবাক করার মত বলেই অনেকে মনে করছেন। তেমনি এই দুই প্রার্থীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে শত শত কোটি টাকার ঋণের ব্যাপারটিও নানা মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ১৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি, ব্যবসা, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া, মৎস্য চাষ ও ব্যাংক সুদ উল্লেখ করেছেন আতিকুল। এছাড়া তার অস্থাবর সম্পদ ৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬৯ হাজার ও স্থাবর সম্পদের মূল্যমান ১৩ কোটি ৯৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতায় বি.কম পাস আতিকুল ইসলাম হলফনাাময় উল্লেখ করেছেন, আইএফআইসি ব্যাংকে তার ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ রয়েছে ৫৯১ কোটি ৬ লাখ টাকা। এই ঋণের মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকে ফান্ডেড ১৮৬ কোটি ৬২ লাখ ও নন-ফান্ডেড ২৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। ইস্টার্ন ব্যাংকে ফান্ডেড ৪৭ কোটি ২৯ লাখ ও ১৩ কোটি ৯ লাখ টাকা নন-ফান্ডেড এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে ২৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ফান্ডেড ও ৭৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা নন-ফান্ডেড ঋণ রয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের মালিকানায় রয়েছে ৩৭ টি প্রতিষ্ঠান। হলফনামায় তাবিথ তার আয়ের উৎস্য দেখিয়েছেন, কৃষি, বাড়ি/দোকান/অন্যান্য ভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক লভ্যাংশ, চাকরি ও অন্যান্য খাত।
এছাড়া তাবিথ আওয়ালের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ৮ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে ৪.২৪ একর কৃষি জমি, ১৬.৪৮ একর অকৃষি জমি, ০.৫৬ একর অন্যান্য জমি। এসব ছাড়াও ৯২৪ ও ১ হাজার ৪৩ বর্গফুট আয়তনের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে তাবিথ আওয়ালের।
এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তাবিথের প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ঋণ নেয়া রয়েছে ৩০২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার এমএসসি পাস তাবিথের নামে কোনো মামলা নেই।
টাইমস/এসএন/আরএ/এইচইউ