কর্মভীরু ফখরুলদের মুখে গণতন্ত্র বেমানান -ওবায়দুল কাদের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতারা কর্মভীরু বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেছেন, বিএনপি নেতারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে শুধু বাক্যালাপে বীরত্ব দেখাচ্ছেন।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এই মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিবৃতিতে আরও বলেন, করোনাভাইরাসের তান্ডবে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও প্রতিদিনের যাপিত জীবন এক অবর্ণনীয় সংকটে পড়েছে। মানুষের জীবন-জীবিকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিও চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। করোনার ফলে সৃষ্ট সংকটকালে সাংবাদিক বন্ধুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে চলেছেন। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সম্মিলিত এই লড়াইয়ে সংবাদকর্মীরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে অগ্রগণ্য। অধিকাংশ গণমাধ্যমের কর্মীরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কাজ করে চলেছেন।

‘গণমাধ্যম: সত্য প্রচারে শঙ্কিত’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণমাধ্যম হলো চলমান সমাজের দর্পণ। তারা সত্য প্রচারে নির্ভীক এবং বিএনপির সৃষ্ট গুজব প্রচারে অনীহ। দেশবাসী লক্ষ করেছে, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন আন্দোলনে সরকারবিরোধী প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সবক্ষেত্রে বিএনপি কীভাবে গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা চালিয়েছে।

সেই কারণে সংকটময় এই সময়ে জনগণের পাশে না দাঁড়ানো বিএনপির মিডিয়াবাজির রাজনীতিতেও ভাটা পড়েছে। তারা গণমাধ্যমকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কর্মভীরু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বাক্যালাপে বীরত্ব প্রদর্শন করছেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কথায় কথায় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন ‘দেশে গণতন্ত্র নেই’। দেশে যদি গণতন্ত্র না-ই থাকে তাহলে বিএনপির নেতারা কীভাবে সরকারের বিরুদ্ধে এত মিথ্যাচার করার সুযোগ পান? বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে ৯৯ শতাংশ ভোট ডাকাতির কথা দেশবাসী জানে। সামরিক শাসনতন্ত্রের মোড়কে ১৯৭৯ সালের গণতান্ত্রিক নির্বাচনও দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছিল। সেই ইতিহাস এখনও বই-পুস্তক ও জাতীয় স্মৃতিতে জল জল করছে। সুতরাং বিএনপির মুখে আর যা-ই হোক গণতন্ত্রের কথা বেমানান।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: