সেতুমন্ত্রীর পরিবারকে ‘রাজাকার’ বলায় ক্ষমা চাইলেন এমপি একরাম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে ‘রাজাকার’ বলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ওবায়দুল কাদের কাছে একরাম চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ করে নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে ফোন করে একরামুল করিম চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষমা চান।

একরাম চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, আমার কোনো বক্তব্যে আমার নেতা ওবায়দুল কাদের কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আর নোয়াখালীবাসী দুঃখ পেয়ে থাকলে তাদের কাছেও আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

এর আগে একরাম চৌধুরী ফেসবুক লাইভে এক ভিডিওতে বলেন, ‘আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরের (ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই) বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার পরিবারের লোক (ওবায়দুল কাদের) এই পর্যায়ে এসেছে, তার ভাইকে শাসন করতে পারেন না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কথা বলব। আমার যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে। তা হলে আমি এটা নিয়ে শুরু করব।’

সাংসদ একরাম চৌধুরী বলেছেন, মির্জা কাদেরের চাচা রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তাকে ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের বাহিনী গুলি করে মেরেছে। তার বাবা ছিলেন মুসলিম লীগের নেতা। মির্জা কাদেরের নানা ছিলেন শান্তি বাহিনীর কমান্ডার। মামা ছিলেন রাজাকার। তাদের পুরো বংশই ছিল রাজাকার। একটা রাজাকার বংশের লোক নিয়মিত ৩০০ সাংসদের বিরুদ্ধে কথা বলে যাচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে দলের কোনো ভূমিকা নেই।

একরাম চৌধুরীর বক্তব্যের ২৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পরে অবশ্য তিনি ভিডিওটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেন। কিন্তু ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। একরাম চৌধুরীর বহিষ্কার দাবিতে হরতালের ডাক দেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

টাইমস/এসএন