পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় নোয়াখালীর সাতটি উপজেলার মধ্যে চারটিতেই চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। দুটি উপজেলায় রয়েছেন দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী।
চার উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা বুধবার তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র।
নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- সেনবাগে জাফর আহম্মদ চৌধুরী, সোনাইমুড়ীতে খন্দকার রুহুল আমিন, সুবর্ণচরে এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী এবং কোম্পানীগঞ্জে মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন। এই উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা বুধবার তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে প্রার্থীদের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এই চার উপজেলায় বেসরকারি ভাবে তাদের চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যানের দুটি পদে এবং সুবর্ণচর উপজেলায় নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হওয়ায় তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হচ্ছে।
সাতটি উপজেলার চারটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও কবিরহাট এবং বেগমগঞ্জ উপজেলার প্রার্থীরা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে রয়েছেন। কবিহাটের বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগের কামরুন নাহার, ‘বিদ্রোহী’ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আলা বক্স।
বেগমগঞ্জে বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন- উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যাহ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবু ইউসুফ জানান, যেসব উপজেলায় একটি পদের বিপরীতে একক প্রার্থী রয়েছেন তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। ৩১ মার্চ জেলার পাঁচটি উপজেলায় কেবল ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের তিনটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
টাইমস/এসআর/এইচইউ