'গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার মারণাস্ত্র আছে, আগুনের নেভানোর নেই'

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আগুন নেভাতে ও মানুষজনকে উদ্ধারে সরকার ফায়ার সার্ভিসে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মানুষ বাঁচানোর জন্য কোনো উন্নত মানের যন্ত্রপাতি ফায়ার সার্ভিসের নেই, ব্যবস্থাপনাও নেই। ফায়ার সার্ভিস আধুনিকায়নে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।

তিনি বলেন, শাসকগোষ্ঠী ফায়ার সার্ভিসের আধুনিকায়ন করলে এত মানুষের প্রাণ যেত না। অথচ গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে দমন করার জন্য কত যে আধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই।

শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন।

বিরোধী দল দমনের বিষয়ে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, সর্বাধুনিক বিপজ্জনক টিয়ার শেল, স্মোক গ্রেনেড, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, গোলমরিচ স্প্রেসহ নানা ধরনের আধুনিক অস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ৩০ হাজার আধুনিক প্রাণঘাতী ১২ বোর শটগান। স্বীকারোক্তি আদায় বা নির্যাতনের জন্য আনা হয়েছে ইলেকট্রিক চেয়ার, আধুনিক ডিভাইস।

রিজভী আরও বলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ফোনে আড়িপাতার জন্য বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসংবলিত যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। গোপনে অডিও-ভিডিও করার উন্নত মানের ডিভাইসও আনা হয়েছে।

গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে রিজভী বলেন, মানুষ বাঁচাতে তাদের (সরকার) কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। ঢাকাসহ বাতাসে, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাতাসে পোড়া মানুষের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এরা আছে বিরোধী দল দমনে, খালেদা জিয়াকে কীভাবে কষ্ট ও নির্যাতন দেওয়া যাবে, সেই কাজে।

এ সময় তিনি বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপার্সনের মুক্তি দাবি করেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাহিদা রফিক, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: