বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, খালেদা জিয়া গত চার দিন কোনোরকমে জাউ ভাত খেয়ে বেঁচে আছেন। তার মুখে ঘা হয়ে ফুলে গেছে। জিহ্বা নাড়াতে পারছেন না। তিনি শয্যাশায়ী। এই রমজান মাসে জেলে তার অবস্থা বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিজভী।
খালেদা জিয়াকে শুধু প্রতিহিংসা ও জিঘাংসা চরিতার্থ করার জন্য সরকার জেলে বন্দী রেখেছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, তাকে আজীবন জেলে রাখার প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের এই ‘নীলনকশা’ জনগণ জেনে গেছে।
এখন আর কোনো টালবাহানা-মিথ্যাচার-আষাঢ়ে গল্প বানিয়ে খালেদা জিয়াকে জেলে রাখতে পারবেন না মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, জনগণের সামনে সব কুমতলব ফাঁস হয়ে গেছে। কালক্ষেপণ না করে খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসাপরায়ণতার জিঞ্জির থেকে মুক্ত করে দিন। দেশের মানুষকে আর ক্ষিপ্ত করবেন না।
গণতন্ত্রের এই অকালপ্রয়াণে শোক জানাতেও মানুষ ভয় পাচ্ছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার রক্তপাতের মাধ্যমে যে পিশাচের রাজত্ব কায়েম হয়েছে, তাতে মানুষ শঙ্কিত। আইনের শাসনকে ফাঁসিতে লটকে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দেশব্যাপী। সুতরাং বর্তমান দুঃশাসনের অবসান না হলে দেশে ভয়ের শাসনই জারি থাকবে।
এসব দুর্নীতিতে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা জড়িত দাবি করেন রুহুল কবীর রিজভী বলেন, আর এ জন্যই এসব দুর্নীতির কোনো বিচার হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে দুদক নখদন্তহীন নিশ্চল নির্বিকার প্রাণীর ভূমিকা পালন করছে। গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে জবাবদিহির টেকসই নীতি নেই বলেই লুটপাটের নীতিই প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এ জন্য ঋণখেলাপিদের আরও ঋণ দেয়া হচ্ছে, আর মধ্যরাতের ভোটের সহায়তাকারীদের বিনা সুদে গাড়ি বাড়ি কেনার ঋণ দেয়া হচ্ছে।
টাইমস/এসআই