নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিচারের জন্য বিশেষ আদালত পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগার থেকে সরিয়ে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়ার সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা। আদালত স্থানান্তরে জারি করা সরকারের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারা এই আবেদন করেন।
খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল জানান, সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহুবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হতে পারে। সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদবহির্ভূত পদক্ষেপ হওয়ায় এবং প্রচলিত ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৯ এর (১) ও (২) উপধারাবিরোধী হওয়ায় নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিচারে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ জজ আদালত-৯ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই নং ভবনে স্থানান্তরে গত ১২ মে জারি করা গেজেটকে কেন অবৈধ এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
রিট আবেদনে রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদি করা হয়েছে।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার বলেন, ‘খালেদা জিয়া একজন পাবলিক ফিগার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো ট্রায়াল পাবলিকলি হওয়া উচিৎ। কেরানীগঞ্জের কারাগারের একটি রুমে কখনো পাবলিক ট্রায়াল হতে পারে না। তাছাড়া আইনে আছে, মামলাটার বিচার মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে হতে হবে। কিন্তু কেরানীগঞ্জের কারাগার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে। আমরা মনে করি, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি ন্যায় বিচার করবেন এবং আদালত স্থানান্তরের যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেটির কার্যকারিতা স্থগিত চেয়েছি, আশা করি আদালত স্থগিতাদেশ দেবেন।
আদালত স্থানান্তরে ১২ মে জারি করা গেজেট বাতিলে গত মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে আইন সচিবকে আইনি নোটিস দেয়া হয়। নোটিসে বলা হয়েছিল, এর মধ্যে গেজেটটি প্রত্যাহার বা বাতিল না করলে করলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, বর্তমানে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন সুস্থ হলে তাকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হবে।
টাইমস/এসআই