২০১৩ সালে ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি মো. সেলিমের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামায় তার নগদ ছিল পাঁচ লাখ ২০ হাজার ৩১৬ টাকা।
এবারের হলফনামায় হাজি সেলিমের নগদ অর্থ কমেছে। হলফনামা অনুযায়ী, অস্থাবর সম্পদের মধ্যে এবার হাজি সেলিমের হাতে নগদ রয়েছে দুই লাখ ৯৯ হাজার ৪৫৮ টাকা।
তবে তার স্ত্রীর হাতে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে। এখন তার স্ত্রীর হাতে নগদ দুই কোটি নয় লাখ ৪০ হাজার ৫৭০ টাকা রয়েছে। যেখানে ২০১৩ সালে তার কাছে নগদ টাকা ছিল এক লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকা। এই হিসেবে এবার হাজি সেলিমের চেয়ে তাঁর স্ত্রীর কাছে প্রায় ৭০ গুণ বেশি নগদ টাকা রয়েছে।
ব্যাংকখাতে হাজি সেলিমের জমা আছে এক কোটি ৩৪ লাখ পাঁচ হাজার ১০৫ টাকা। আগে ছিল ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৮ টাকা। এই খাতে এখন তার স্ত্রীর নামে জমা আছে তিন কোটি ৭৯ লাখ সাত হাজার ৮৫ টাকা। আগে তার নামে ছিল এক কোটি ৬৪ হাজার ১৫ টাকা।
বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার বাবদ হাজি সেলিমের নামে জমা আছে ৪৬ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে আছে ১৬ কোটি ৫৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আগে এই খাতে হাজি সেলিমের নামে ছিল ২৬ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে ছিল ১১ কোটি ৪৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
হাজি সেলিমের আয়ের বড় উৎস ব্যবসা। তিনি মদিনা গ্রুপ, মদিনা সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মদিনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
টাইমস/পিআর