লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমদ বলেছেন, বর্তমান জনপ্রতিনিধিরা মানুষের ভোটে নির্বাচিত নন। পুলিশের সহযোগিতায় তারা সাংসদ হয়েছেন। ২ লাখ পুলিশ এই সরকারকে নির্বাচিত করেছে। ১৪ কোটি মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এলডিপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার বিকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখনকার সাংসদরা ফোন করলে পুলিশ কর্মচারী তাদের ফোন ধরে না। পুলিশ মনে করে সাংসদরা তাদের বানানো সাংসদ। এখন রাজনীতিবিদদের কোনো সম্মান নেই।
কর্নেল অলি অভিযোগ করেন, দেশে যখন ডেঙ্গুর মহামারি চলছে তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মালয়েশিয়া গেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে নেই। কেন নেই, লন্ডনে তিনি কী করছেন এ বিষয়ে দেশের মানুষ অবহিত নয়।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানাই তিনি কথা কম বলতে বলেছেন। কারণ ওবায়দুল কাদের বুঝে গেছেন সাইক্লোন শুরু হয়ে গেছে। সরকারের পক্ষে হয়তো ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব না।
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে বিদেশ থেকে ওষুধ আনার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী থাকলে ১০ ঘণ্টার মধ্যে ওষুধ নিয়ে আসতাম।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বয়স ও মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা বিবেচনা করে খালেদাকে মুক্তি দেয়ার অনুরোধ জানান অলি আহমদ।
অলি আহমদ বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী একাত্তরে খালেদা জিয়াকে যে সম্মান করেছিল, নিজ দেশের সরকার তাকে সেই সম্মান করছে না। উল্টো কারাগারে বন্দি রেখেছে।
জনগণের বসে থাকার সময় শেষ উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, ‘দেশের ক্ষতি হয় এমন কোনও কর্মকাণ্ড আমরা সমর্থন করি না। আপনারা ছোট ছোট মিছিল-মিটিং করুন। খালেদার মুক্তি ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হোন।’
অলি আহমদ অভিযোগ করেন, জাতির পিতার সন্তান বলে যারা দাবি করেন তাদের কাছে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সম্মান নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শাহদাত হোসেন সেলিম, ২০ দলীয় জোট শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুনির হোসেন কাসেমী প্রমুখ।
টাইমস/এসআই