জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিম এম) কাদের বলেছেন, আমি দেখি ঢাকার মানুষ আতঙ্কিত। মশা দেখলেই ভয় পাচ্ছে। কারণ জ্বর হলে ডেঙ্গু হচ্ছে। ডেঙ্গু হলে মানুষ মারা যাচ্ছে। আমরা অসহায় হয়ে থাকবো আর প্রতিদিন ডেঙ্গু বাড়বে কিছুই করতে পারব না, এটা হতে পারে না।
শনিবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী কলেজ মাঠে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের স্থায়ী তালিকা করার দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, প্রতিবছরই কুড়িগ্রাম ও রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিবছর বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের জন্য স্থায়ী তালিকা করতে হবে। বন্যার সময় তাদের কার্ড অনুযায়ী ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে।
জি এম কাদের বলেন, বন্যায় ক্ষাতিগ্রস্ত অনেক মানুষই কষ্টের মধ্যেও ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়াতে চায় না। তাই তালিকা অনুযায়ী ত্রাণ দিলে সবার মধ্যে সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণের স্থায়ী বন্দোবস্ত হবে।
কাদের বলেন, প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আমরা সাধ্যমতো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সব সময় বন্যার্তদের পাশে ছিলেন। আমরাও তার দেখানো পথে দুর্গত মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকব। এরশাদের মৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিণত করে গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করব। ত্রাণ বিতরণে কোনো অনিয়ম হলে আমরা সংসদে তা তুলে ধরব।
জাতীয় পার্টির কোনো জোট নেই উল্লেখ করে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবে। রংপুরের ২২টি আসনেই জয়ী হতে এবং পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি। মসিউর রহমান রাঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণে উত্তরাঞ্চলের সব নদ-নদীতে ড্রেজিং করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর (অব.) আশরাফ-উদ-দৌলা, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
টাইমস/এসআই