জনসভা থেকে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হলেন বিএনপি নেতা মাহাবুব

দলীয় জনসভা থেকে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন।

শনিবার বিকাল ৫টার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ইকবাল হোসেন রুবেলও (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ছাত্রদল নেতা সোহেলকে (৩০) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর গুলিবিদ্ধ যুবদল কর্মী রায়হান (৩২), বিএনপির কর্মী খোকন (৪২), হারুন (৩৫), ফারুক (৩৩), মজিদ (৩৫), নাজমুল (৩২), রিয়াদ (৩১), সেলিমসহ (৩০) অপর অজ্ঞাতনামা গুলিবিদ্ধ ও আহতদের চৌমুহনী পৌরসভার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

পরে গুলিবিদ্ধ খোকন, তার ব্যক্তিগত সহকারী রুবেল ও দলীয় কর্মী সোহেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসক ফজলে রাব্বানী জানান, মাহবুব উদ্দিন খোকনের পিঠে ৬টি ছররা গুলি লেগেছে। সোহেলের ঘাড়ে লেগেছে দুইটি এবং রুবেলের পায়ে লেগেছে একটি। আরও গুলি রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য এক্স-রে করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ মাহবুব উদ্দিনর খোকন জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করে বিকেল তিনটায় তিনি কলেজ মাঠে থেকে নির্বাচনী গণসংযোগ করার সকল প্রস্ততি নেন। এবং যথারীতি তিনি দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে বাজারে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। এসময় পুরো বাজারে কয়েকদফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

তবে সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবু জানান, ব্যারিস্টার খোকন নিজে কয়েকটি ট্রাক যোগে মানুষ এনে সোনাইমুড়ীতে হামলা করে। এ সময় তার লোকজন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এই্চ এম ইব্রাহিমের তিনটি নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। তিনি নিজে উস্কানি দিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ি থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছি।

টাইমস/ কেআরএস

Share this news on: