র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট ও সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে অসামাজিক কার্যকলাপ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংগঠনটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ রোববার দুপুরে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আলোচনায় ছিল যুবলীগ নেতা সম্রাটের নাম। তার বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। অভিযানে যুবলীগ, কৃষক লীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা র্যাব-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। কিন্তু সম্রাট ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অভিযান শুরুর প্রথম তিন দিন সম্রাট দৃশ্যমান ছিলেন। তিনি ফোনও ধরতেন। সে সময় ছয় দিন তিনি কাকরাইলে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থান করেন। ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সম্রাটের অবস্থানকালে শতাধিক যুবক তাকে পাহারা দিয়ে রেখেছিলেন। সেখানেই সবার খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পর অন্য স্থানে চলে যান সম্রাট। এরপর তার অবস্থান নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়।
এরই মধ্যে সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইনানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।
টাইমস/এসআই