জুয়াড়িদের কাছ থেকে তিন বার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল(আইসিসি) কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট নক্ষত্র সাকিব আল হাসনাকে। তবে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় তার সাজা এক বছরের সাজা কমিয়েছে আইসিসি।
মঙ্গলবার আইসিসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সাকিব বাংলাদেশের টেস্ট ও টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কোডের তিনটি আইন লঙ্ঘনের অপরাধ স্বীকার করায় বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারমধ্যে এক বছর স্থগিত করা হয়েছে।'
এই শাস্তির ফলে ২০২০ সালের ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেটে মাঠে নামতে পারবেন না বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। অর্থাৎ আগামী বছর অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না সাকিব।
প্রথম এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর সময়ে নতুন করে কোনো আইন না ভাঙলে পরবর্তী এক বছরের শাস্তি থেকে তিনি রেহাই পাবেন। সেক্ষেত্রে ২০২০ সালের ২৯ আগস্টের পর আবার মাঠে ফেরার সুযোগ পাবেন সাকিব।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ চলাকালে দুই বার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। পরবর্তীতে সে বছরেরই আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচের আগেও তাকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন জুয়াড়িরা।
আইসিসির দেয়া বিবৃতিতে সাকিব আল হাসান বলেন, 'আমি খুব দুঃখিত, আমার নিষেধাজ্ঞার জন্য। আমি খেলাটি ভালোবাসি, তবে আমার বিরুদ্ধে আনা দায় আমি মেনে নিয়েছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইসিসির যে অবস্থান সেখানে আমি আমার দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে পারিনি।'
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, 'সাকিব অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার, সে অনেক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, এটা তার দায়িত্ব ছিল এই প্রস্তাবগুলো রিপোর্ট করা।'
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার আশা করছেন, সাকিব আর এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন না এবং ভবিষ্যতে আইসিসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবেন।
টাইমস/এসআই