গণধর্ষণ ও হত্যার দায়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ জনের ফাঁসি

পাঁচ বছর আগে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে আদালত তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার মালবাগডাঙ্গা গ্রামের শ্যামাপদ রবিদাসের ছেলে নয়ন রবিদাস (২৮), সোনাপট্টি গ্রামের বীরেন রবিদাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস (২২), চাকপাড়া গ্রামের রতন রবিদাসের ছেলে নিতাইচন্দ্র রবিদাস (২৬), সুচেন দাসের ছেলে সুভাষ দাস (৪২) ও খোকন রবিদাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস (২৪)।
রায় ঘোষণার সময় নয়নকুমার ও প্রশান্ত উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি আঞ্জুমান আরা বেগম মামলার নথির বরাতে জানান, ২০১৫ সালে সদর উপজেলার কালিনগর বাবলাবোনা গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুন (২০) নিখোঁজ হন। পরদিন ১৪ জুন সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলার মোড়ের একটি ডোবা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের পর হত্যার তথ্য আসে। ওই বছর ১৫ আগস্ট সদর থানার এসআই শামীম আকতার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক সারোয়ার রহমান একই বছর ১৪ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন আদালতে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামি নয়ন প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে আয়েশা খাতুনকে ১৩ জুন ডেকে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
পিপি আঞ্জুমান বলেন, আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য নিয়ে পাঁচ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে খালাস দিয়েছে।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সদর উপজেলার বাথানপাড়া গ্রামের অনীল শিলের ছেলে শ্রীকৃষ্ণ (২৩), হরিশপুরের আতাবুরের ছেলে আব্দুর রহিম (৩৫) ও রাজশাহীর জিয়া কলোনির আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সোহাগী বেগম (২৭)।
টাইমস/এসআই